নকলায় খাল খননের উদ্যোগের প্রতিবাদে কৃষকদের মানববন্ধন
- আপডেট সময় : ০৯:১৪:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ৭০ বার পড়া হয়েছে
নকলায় খাল খননের উদ্যোগের প্রতিবাদে কৃষকদের মানববন্ধন
ববি রানী রায়
স্টাফ রিপোর্টার:
শেরপুরের নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা মৃগী নদীর মোহনা থেকে মেহেদীডাঙ্গা পর্যন্ত খাল খনন প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় কৃষকরা। ২৫ ডিসেম্বর সোমবার দুপুরে উপজেলার হুজুরীকান্দা এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাবেক ইউপি সদস্য মো. ছোবাহান, কৃষক আনছর আলী, নবাব আলী, আব্দুল আওয়াল, তৈয়ব আলীসহ স্থানীয় কৃষকরা।
ওইসময় বক্তারা বলেন, পর্যাপ্ত সেচের ব্যবস্থা থাকায় এখানকার কৃষি জমিতে বছরে ৩টি ফসল আবাদ করেন কৃষকরা। এখানে অপ্রয়োজনীয় খাল খনন করা হলে আশপাশের ৩টি গ্রামের কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এছাড়া অনেকেই খালের জন্য জমি হারিয়ে ভূমিহীন হয়ে পড়বেন। ক্ষতিগ্রস্ত হবেন ৩ গ্রামের ৪/৫ হাজার মানুষ। তারা আরও বলেন, এই খাল খনন প্রকল্পে যাদের সদস্য করা হয়েছে, তাদের অধিকাংশেরই এখানে জমি-জমা নেই। তাই তারা কৃষকদের জন্য অপ্রয়োজনীয় এ প্রকল্পটি বাদ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানান। মানববন্ধনে হুজুরীকান্দা, জানকীপুর ও বন্দটেকি এলাকার প্রায় আড়াইশ কৃষক উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থ বছরের বরাদ্দকৃত শেরপুরের নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা মৃগী নদীর মোহনা থেকে মেহেদীডাঙ্গা পর্যন্ত একটি খাল খনন প্রকল্প হাতে নেয় এলজিইডি। খাল খননের জন্য ইতোমধ্যে জমি মার্কিং করা হয়েছে। এ প্রকল্পটিকে বন্ধের জন্য ইতোমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক, শেরপুরের জেলা প্রশাসক, নকলা উপজেলা চেয়ারম্যান, নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন দপ্তরে এলাকাবাসী স্বাক্ষরিত চিঠি দেওয়া হয়েছে।
নকলা উপজেলা প্রকৌশলী আরেফিন পারভেজ জানান, চন্দ্রকোনায় আমাদের কোন খাল খনন প্রকল্প চলছে না। তবে সেখানে খাল খননের জন্য একটি প্রস্তাবনা পাঠানো আছে। তবে এখন পর্যন্ত সেটির কোন অগ্রগতি হয়নি। এরপরও এলাকাবাসীর কোন আপত্তি থাকলে তারা আমার সাথে বা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি জানাতে পারে।
এ ব্যাপারে নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া উম্মুল বানিন বলেন, যেহেতু জনস্বার্থের কাজ, জনগণের মতামত ও তাদের সাথে বলে যেভাবে সুবিধা হয় সেভাবে করতে হবে। জনগণ না চাইলে সেখানে কাজ করার সুযোগ নেই।