ঢাকা ০২:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চট্রগ্রাম বোয়াল খালিতে বাংলাদেশ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের ঐক্য ও সম্প্রীতি সমাবেশ Logo কালিয়াকৈরে ইলেকট্রিক কমিটির নবনির্বাচিত সভাপতি মুহাম্মদ নাজমুল আলম ও সাধারন সম্পাদক কেরামত আলী  Logo লক্ষীপুরের রায়পুরে একদল তরুন স্বেচ্ছাসেবক বন্যাকবলিত ২শতাধিক মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছে Logo শ্রীমঙ্গলে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদককে অব্যহতি Logo কান্দিগ্রাম শিক্ষা উন্নয়ন পরিষদ এর ২০২৪-২৫ সালের কার্যকরি কমিটি গঠন! Logo শেরপুরে জেলায় একটি মৎস্য খামার থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার Logo সিমেক ফাউন্ডেশন এর ত্রান বিতরন কর্মসূচী- ২০২৪ Logo বামনডাঙ্গা বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবিতে অবরোধ। Logo বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের নেতৃত্বে পরিবর্তন কার্যকরী সভাপতি জনাব আব্দুর রহিম বকস দুদু কে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি,সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোঃ হুমায়ুন কবির খানকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন Logo কেস স্টাডি তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী ফাহাদ ( শ্রেণীতে অমনোযোগীর কারণ অনুসন্ধান)

নকলার চাঞ্চল্যকর শিশু অপহরণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত তাসলিমা’কে ১৩ বছরপর গ্রেপ্তার

ববি রানী রায়
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৩:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ৯৯ বার পড়া হয়েছে

ববি রানী রায়
স্টাফ রিপোর্টার:

শেরপুরের নকলার চাঞ্চল্যকর শিশু অপহরণ মুক্তিপণ দাবির মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত তাসলিমা’কে ১৩ বছর পর চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৪।
২২ ফেব্রুয়ারী চট্টগ্রামের হাটহাজারীর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে র‌্যাব-১৪ জামালপুর ও চট্টগ্রাম যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃত মোছাঃ তাসলিমা খাতুন নকলা উপজেলার পাঁচকাহনিয়া গ্রামের হোসেন আলীর স্ত্রী।
র‌্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃত তাসলিমা খাতুন আত্মীয়তার সুযোগে বিগত ২০১১ সালের ৯ অক্টোবর নকলা উপজেলার শালখা গ্রামের মোঃ আব্দুল জলিলের বাড়িতে বেড়াতে যায়। এরদুইদিন পর জলিলের শিশু কন্যা আকলিমা খাতুন (০৪) কে অপহরণ করে ঢাকায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাছলিমা জলিলের কাছে একলাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। বিষয়টি নকলা থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ ঢাকা থেকে অপহৃত আকলিমাকে উদ্ধার করে। এব্যাপারে নকলা থানায় তাসলিমাকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের করে শিশুটির বাবা আব্দুল জলিল। এ ঘটনার পর থেকেই তাসলিমা পালিয়ে যায়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে উক্ত মামলার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বিজ্ঞ আদালত দীর্ঘ বিচার কার্যক্রম শেষে ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর শেরপুরের নারী ও শিশুনির্যাতন ট্রাইবুনালের বিচারক আসামি মোছাঃ তাসলিমা’কে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ০৭ ধারায় ১৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ১০,০০০ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ০৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং ০৮ ধারায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ২০,০০০ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ০১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন।

বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে আসামীর অবস্থান নিশ্চিত করে র‌্যাব-৭, হাটহাজারী ক্যাম্প, চট্টগ্রাম ও র‌্যাব-১৪, জামালপুর যৌথ অভিযান চালিয়ে মোছাঃ তাসলিমাকে ২২ ফেব্রুয়ারী দুপুরে গ্রেপ্তার করে।
র‌্যাব-১৪, জামালপুরের কোম্পানী অধিনায়ক মেজর মোঃ আবরার ফয়সাল সাদী গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ধৃত আসামীকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শেরপুর জেলার নকলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

ববি রানী রায়
স্টাফ রিপোর্টার, শেরপুর।

ট্যাগস :
Translate »

নকলার চাঞ্চল্যকর শিশু অপহরণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত তাসলিমা’কে ১৩ বছরপর গ্রেপ্তার

আপডেট সময় : ০৭:৪৩:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ববি রানী রায়
স্টাফ রিপোর্টার:

শেরপুরের নকলার চাঞ্চল্যকর শিশু অপহরণ মুক্তিপণ দাবির মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত তাসলিমা’কে ১৩ বছর পর চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৪।
২২ ফেব্রুয়ারী চট্টগ্রামের হাটহাজারীর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে র‌্যাব-১৪ জামালপুর ও চট্টগ্রাম যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃত মোছাঃ তাসলিমা খাতুন নকলা উপজেলার পাঁচকাহনিয়া গ্রামের হোসেন আলীর স্ত্রী।
র‌্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃত তাসলিমা খাতুন আত্মীয়তার সুযোগে বিগত ২০১১ সালের ৯ অক্টোবর নকলা উপজেলার শালখা গ্রামের মোঃ আব্দুল জলিলের বাড়িতে বেড়াতে যায়। এরদুইদিন পর জলিলের শিশু কন্যা আকলিমা খাতুন (০৪) কে অপহরণ করে ঢাকায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাছলিমা জলিলের কাছে একলাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। বিষয়টি নকলা থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ ঢাকা থেকে অপহৃত আকলিমাকে উদ্ধার করে। এব্যাপারে নকলা থানায় তাসলিমাকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের করে শিশুটির বাবা আব্দুল জলিল। এ ঘটনার পর থেকেই তাসলিমা পালিয়ে যায়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে উক্ত মামলার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বিজ্ঞ আদালত দীর্ঘ বিচার কার্যক্রম শেষে ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর শেরপুরের নারী ও শিশুনির্যাতন ট্রাইবুনালের বিচারক আসামি মোছাঃ তাসলিমা’কে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ০৭ ধারায় ১৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ১০,০০০ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ০৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং ০৮ ধারায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ২০,০০০ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ০১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন।

বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে আসামীর অবস্থান নিশ্চিত করে র‌্যাব-৭, হাটহাজারী ক্যাম্প, চট্টগ্রাম ও র‌্যাব-১৪, জামালপুর যৌথ অভিযান চালিয়ে মোছাঃ তাসলিমাকে ২২ ফেব্রুয়ারী দুপুরে গ্রেপ্তার করে।
র‌্যাব-১৪, জামালপুরের কোম্পানী অধিনায়ক মেজর মোঃ আবরার ফয়সাল সাদী গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ধৃত আসামীকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শেরপুর জেলার নকলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

ববি রানী রায়
স্টাফ রিপোর্টার, শেরপুর।