ঢাকা ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo রাজশাহীতে মাসব্যাপী ক্ষুদ্র পণ্য বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন Logo আগামীর গোয়াইনঘাট বিনির্মাণে গোয়াইনঘাট ছাত্র পরিষদের ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo ত্রিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত Logo ত্রিশালে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপনে মতবিনিময় সভা Logo ত্রিশালে বিশ্ব শিক্ষক দিবসের প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত Logo দুদকের মুখোমুখি লক্ষীপুর-২ আসনের সাবেক এমপি নয়ন ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান লিকা Logo লক্ষীপুরের রায়পুরে দুর্গম চরাঞ্চলে ধরা পড়েছে বিশালাকৃতির কুমির Logo ভোলায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমান মাদক সহ ৫ কারবারি আটক Logo ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প সচেতনতা সভা- দিঘলিয়া মৎস্য অফিসার Logo রাসুল (সাঃ.) এর শানে কটুক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ

ভোলায় মহামারি রূপ নিচ্ছে ডেঙ্গু বাড়ানো হচ্ছে চিকিৎসা সেবা

নুরুল আমিন, ভোলা জেলা প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ১০:২৫:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০২৩ ১৯২ বার পড়া হয়েছে

নুরুল আমিন, ভোলা জেলা প্রতিনিধি

দ্বীপ জেলা ভোলায় দিনদিন বেড়ে চলেছে ডেঙ্গু প্রকোপ। পর্যায়ক্রমে ডেঙ্গু সংক্রমণ মহামারি রূপ নিচ্ছে। ভোলা সদর হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ১০-১২ জন রোগী ভর্তি হচ্ছে। লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন ৩-৪ জন করে ভর্তি হলেও শুক্রবার (১৪ জুলাই) রাত ৯টা পর্যন্ত ৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে ধারণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। ভর্তি রোগীর মধ্যে তিনজন পুরুষ, তিনজন নারী। তারা হলেন- ইমন (২৫), সুজন (৩২), ফজলু (৪০), আনোয়ারা (৮০), রিনা (৩৫), ইয়ানুর (২৫)।
ভোলায় গত তিন মাসে মাত্র তিনজনের ডেঙ্গু সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর গত এক মাসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে অর্ধশতাধিক। চলতি মাসে এ সংখ্যা দ্বিগুণ ছাড়িয়ে গেছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সূত্রে জানা গেছে, শুরুর দিকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে আগত রোগীরা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলেও এখন স্থানীয়ভাবেই এ রোগের বিস্তার ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্কিত রোগী ও তাদের স্বজনরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপকূলীয় জেলা ভোলায় বিগত সময়ে ডেঙ্গুর বিস্তার মহামারি না হলেও জুলাই মাসে অতীতের আক্রান্তের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। প্রথম ৮ দিনেই আক্রান্ত ৩৭ জন। বিস্তার বেড়ে যাওয়ায় জেনারেল হাসপাতালে আলাদা দুটি ইউনিট খোলা হলেও স্থান সংকুলান না হওয়ার কারণে কাউকে মেঝেতেও চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
রোগের প্রকোপ বাড়তির দিকে থাকায় আতঙ্কের মধ্যে রোগীর স্বজনরা। এদিকে প্রতিদিন গড়ে ৫- থেকে ১০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। যা অন্যান্য সময়ের তুলনায় বেশি।
রোগীর স্বজনরা জানান, পরিবারের একজন আক্রান্ত হলে অন্যরা সংক্রমণের ভয়ে আতঙ্কিত হচ্ছে। তবে ডাক্তার ও নার্সরা প্রয়োজনীয় সেবা দিচ্ছেন।
এদিকে ভোলায় ডেঙ্গুর ভয়াবহ বিস্তার ছড়িয়ে পড়ায় এ নিয়ে চিকিৎসকরা চিন্তিত। রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। হঠাৎ কেন স্থানীয়ভাবেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে তা নিরুপণে গবেষণা করছে জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ। ভোলার সকল হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা সেবা ও পরিচর্যার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
এ ব্যাপারে ভোলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সিবলি সাদিক আল ইসলাম বলেন, রোগীর চাপ কিছুটা বাড়তির দিকে থাকলেও আমরা সেবা দিচ্ছি। তবে স্থানীয়ভাবে আক্রান্তের হার বাড়ায় বিষয়টি নিয়ে আমরাও কিছুটা চিন্তিত। কারণ, আগে দেখা গেছে আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগ ছিল বিভিন্ন জেলা থেকে আগত রোগী।
ভোলা ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তায়েবুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে সচেতন থাকতে হবে সবাইকে।
লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. মহসিন খান জানান, ডেঙ্গু নতুন কিছু নয়। ডেঙ্গু মশা নিধনের ব্যবস্থা করতে হবে। মশার কামড় থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। ফ্রিজসহ ঘর ও ঘরের আশেপাশের জমা পানি সরিয়ে ফেলতে হবে। যাতে ডেঙ্গু মশা বংশ বিস্তার করতে না পারে। রোগী দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসতে হবে। সবাইকে অবশ্যই অবশ্যই সচেতন হতে হবে।

ট্যাগস :
Translate »

ভোলায় মহামারি রূপ নিচ্ছে ডেঙ্গু বাড়ানো হচ্ছে চিকিৎসা সেবা

আপডেট সময় : ১০:২৫:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০২৩

নুরুল আমিন, ভোলা জেলা প্রতিনিধি

দ্বীপ জেলা ভোলায় দিনদিন বেড়ে চলেছে ডেঙ্গু প্রকোপ। পর্যায়ক্রমে ডেঙ্গু সংক্রমণ মহামারি রূপ নিচ্ছে। ভোলা সদর হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ১০-১২ জন রোগী ভর্তি হচ্ছে। লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন ৩-৪ জন করে ভর্তি হলেও শুক্রবার (১৪ জুলাই) রাত ৯টা পর্যন্ত ৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে ধারণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। ভর্তি রোগীর মধ্যে তিনজন পুরুষ, তিনজন নারী। তারা হলেন- ইমন (২৫), সুজন (৩২), ফজলু (৪০), আনোয়ারা (৮০), রিনা (৩৫), ইয়ানুর (২৫)।
ভোলায় গত তিন মাসে মাত্র তিনজনের ডেঙ্গু সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর গত এক মাসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে অর্ধশতাধিক। চলতি মাসে এ সংখ্যা দ্বিগুণ ছাড়িয়ে গেছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সূত্রে জানা গেছে, শুরুর দিকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে আগত রোগীরা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলেও এখন স্থানীয়ভাবেই এ রোগের বিস্তার ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্কিত রোগী ও তাদের স্বজনরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপকূলীয় জেলা ভোলায় বিগত সময়ে ডেঙ্গুর বিস্তার মহামারি না হলেও জুলাই মাসে অতীতের আক্রান্তের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। প্রথম ৮ দিনেই আক্রান্ত ৩৭ জন। বিস্তার বেড়ে যাওয়ায় জেনারেল হাসপাতালে আলাদা দুটি ইউনিট খোলা হলেও স্থান সংকুলান না হওয়ার কারণে কাউকে মেঝেতেও চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
রোগের প্রকোপ বাড়তির দিকে থাকায় আতঙ্কের মধ্যে রোগীর স্বজনরা। এদিকে প্রতিদিন গড়ে ৫- থেকে ১০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। যা অন্যান্য সময়ের তুলনায় বেশি।
রোগীর স্বজনরা জানান, পরিবারের একজন আক্রান্ত হলে অন্যরা সংক্রমণের ভয়ে আতঙ্কিত হচ্ছে। তবে ডাক্তার ও নার্সরা প্রয়োজনীয় সেবা দিচ্ছেন।
এদিকে ভোলায় ডেঙ্গুর ভয়াবহ বিস্তার ছড়িয়ে পড়ায় এ নিয়ে চিকিৎসকরা চিন্তিত। রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। হঠাৎ কেন স্থানীয়ভাবেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে তা নিরুপণে গবেষণা করছে জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ। ভোলার সকল হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা সেবা ও পরিচর্যার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
এ ব্যাপারে ভোলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সিবলি সাদিক আল ইসলাম বলেন, রোগীর চাপ কিছুটা বাড়তির দিকে থাকলেও আমরা সেবা দিচ্ছি। তবে স্থানীয়ভাবে আক্রান্তের হার বাড়ায় বিষয়টি নিয়ে আমরাও কিছুটা চিন্তিত। কারণ, আগে দেখা গেছে আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগ ছিল বিভিন্ন জেলা থেকে আগত রোগী।
ভোলা ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তায়েবুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে সচেতন থাকতে হবে সবাইকে।
লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. মহসিন খান জানান, ডেঙ্গু নতুন কিছু নয়। ডেঙ্গু মশা নিধনের ব্যবস্থা করতে হবে। মশার কামড় থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। ফ্রিজসহ ঘর ও ঘরের আশেপাশের জমা পানি সরিয়ে ফেলতে হবে। যাতে ডেঙ্গু মশা বংশ বিস্তার করতে না পারে। রোগী দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসতে হবে। সবাইকে অবশ্যই অবশ্যই সচেতন হতে হবে।