সোমালিয়ায় জিম্মি জাহাজ “এমভি আবদুল্লাহ” এর উদ্ধার এর খবর সঠিক নয়।
- আপডেট সময় : ০৪:২৫:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪ ১৪৫ বার পড়া হয়েছে
তমিজ উদ্দিন চৌধুরী,
স্টাফ রিপোর্টার-ফেনী।
জলদস্যুদের হাতে জিম্মি “এমভি আবদুল্লাহ” জাহাজের সাথে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। গত ১২ মার্চ বাংলাদেশ সময় বেলা ১২টার দিকে ভারত মহাসাগরে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ “এমভি আবদুল্লাহ” সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে। জলদস্যুরা জাহাজের নাবিকদের জিম্মি করে। ওই জাহাজে জিম্মিদের মাঝে ফেনী জেলার ১২ নং ফাজিলপুর ইউনিয়ন এর ৮ নং ওয়ার্ড ফয়েজ ভূঁইয়া বাড়ির মৃত জাফর আমাদের বড় ছেলে মেরিন ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ তানভীর আহম্মেদ রয়েছেন।
কেএসআরএমের মুখপাত্র ও মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘মূলত শুক্রবার রাতের পর থেকে নাবিকদের সঙ্গে আমাদের আর কোনো যোগাযোগ হয়নি। হয়তো জলদস্যুরা সেখানে নিরাপদ মনে করছে। ধারণা করছি, জাহাজ মালিক পক্ষকে চাপে ফেলতেই তারা যোগাযোগ করতে দিচ্ছে না। এটা তাদের কৌশলও হতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘তবে জলদস্যুদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। নানা উপায়ে ও কৌশলে সে চেষ্টা চলছে।
এদিকে জাহাজের ফোন না আসায় জিম্মি হওয়া নাবিকদের স্বজনদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। স্বজনরা কবির গ্রুপের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন। কবির গ্রুপের কর্মকর্তারা তাদের খোঁজ খবর নিচ্ছেন এবং নাবিকদের মুক্তির আশ্বাস দিচ্ছেন।
জাহাজে থাকা নাবিকেরা হলেন- জাহাজের মাস্টার মোহাম্মদ আবদুর রশিদ, চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ খান, সেকেন্ড অফিসার মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, থার্ড অফিসার এন মোহাম্মদ তারেকুল ইসলাম, ডেক ক্যাডেট সাব্বির হোসাইন, চিফ ইঞ্জিনিয়ার এ এস এম সাইদুজ্জামান, সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. তৌফিকুল ইসলাম, থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. রোকন উদ্দিন, ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার তানভীর আহমেদ, ইঞ্জিন ক্যাডেট আইয়ুব খান, ইলেকট্রিশিয়ান ইব্রাহীম খলিল উল্লাহ এবং ক্রু মো. আনোয়ারুল হক, মো. আসিফুর রহমান, মো. সাজ্জাদ হোসেন, জয় মাহমুদ, মো. নাজমুল হক, আইনুল হক, মোহাম্ম শ্মসুদ্দিন, মো. আলী হোসেন, মোশাররফ হোসেন শাকিল, মো. শরিফুল ইসলাম, মো. নুর উদ্দিন ও মো. সালেহ আহমদ। জিম্মি নাবিকদের মধ্যে ১১ জন চট্টগ্রামের ও ২ জন নোয়াখালীর। বাকি ১০ জন যথাক্রমে ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, নওগাঁ, খুলনা, নেত্রকোনা, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, বরিশাল জেলার।
সংশ্লিষ্টদের তথ্য অনুযায়ী, আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে জাহাজটি সংযুক্ত আরব-আমিরাতের দুবাইয়ের আল- হামরিয়া বন্দরে যাচ্ছিল। ১৯ মার্চ গ্রিনিচ সময় রাত ৮টায় জাহাজটি সেই গন্তব্যে পৌঁছানোর কথা ছিল।
কেএসআরএম গ্রুপের মোট ২৩টি জাহাজ আছে, যেগুলো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক রুটে চলাচল করছে। ‘গোল্ডেন হক’ নামে পরিচিত ‘এমভি আবদুল্লাহ’ গত বছর কেএসআরএম গ্রুপের মালিকানায় আসে।
এর আগে ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর ভারতের উপকূলে আরব সাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল একই প্রতিষ্ঠানের আরেকটি জাহাজ ‘এমভি জাহান মণি’। ওই জাহাজের ২৫ বাংলাদেশি নাবিকের পাশাপাশি এক ক্যাপ্টেনের স্ত্রীসহ ২৬ জনকে ১০০ দিন জিম্মি করে রাখা হয়েছিল। সরকারি উদ্যোগসহ নানা প্রক্রিয়ায় ২০১১ সালের ১৪ মার্চ জিম্মিদের মুক্তি দেয়া হয়। ১৫ মার্চ তারা বাংলাদেশে ফিরে আসেন।