রায়পুরে অসহায় গৃহহীন পরিবার পেল স্বপ্নের ঘর, মাথা গোঁজার ঠাঁই

- আপডেট সময় : ০৩:৫৩:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫ ৩৪ বার পড়া হয়েছে

মো:আবদুল লতিফ,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:-
লক্ষীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার গৃহহীন একটি অসহায় হিন্দু পরিবারের স্বপ্ন পূরনে একটি সংস্থা ও বিত্তবানদের সহায়তায় পেল একটি মাথা গোঁজার ঠাঁই।এতদিন যেটি ছিল শুধুই স্বপ্ন—আজ সেটিই বাস্তবতায় রূপ নিলো এক অসহায় গৃহহীন পরিবারের জীবনে। উদ্যোক্তা সুভাষ রায়ের মানবিক উদ্যোগে, হেল্প ফর বারগেন নরওয়ে নামক একটি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সহায়তায় এবং রায়পুর লোকনাথ সেবা সংঘের বাস্তবায়নে নির্মিত হলো একটি টিনের ঘর।
শনিবার, ৩ মে বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘরটি বুঝিয়ে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উদ্যোক্তা রায়পুর লোকনাথ সেবা সংঘের সভাপতি বিদ্যুৎ পাল, পৌর মহাশ্মশানের সাধারণ সম্পাদক উত্তম মজুমদার, রায়পুর সবুজসেনা খেলাঘর আসরের সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক প্রদীপ কুমার রায়, প্রকল্পের উদ্যোক্তা রায়পুর সনাতনী সেবা সংঘের সভাপতি সুভাষ রায়, কয়েকজন সাংবাদিক, দাতা সদস্যবৃন্দ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
ঘর খানা পেয়ে আবেগজড়িত কণ্ঠে ওই পরিবারের গৃহকর্ত্রী নুধুবালা বলেন, ‘আমার তো কিছুই ছিল না। এই ঘরটা যেন আমার স্বপ্নপূরণ করলো। ঈশ্বর যেন তাদের ভালো রাখেন, যাদের কারণে আজ আমি আমার সন্তানদের নিয়ে একটা ঘরে নিরাপদে ও শান্তিতে ঘুমাতে পারবো।
লোকনাথ সেবা সংঘের সভাপতি ও হেল্প ফর বারগেন এর প্রতিনিধি বিদ্যুৎ পাল বলেন, ‘মানুষের পাশে দাঁড়ানোই মানবতার প্রকৃত রূপ। একজন মানুষের চোখের অশ্রু মুছিয়ে দিতে পারা আমাদের সবচেয়ে বড় পাওয়া। একেবারে নিঃস্ব এই পরিবারটির জন্য ঘর নির্মাণে সহায়তা করতে পেরে আমি অনেক খুশি। পাশাপাশি সংগঠনের সকল সদস্যদেরও তিনি ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতেও সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্তথাকার আশ্বাস দেন।
তিনি আরো বলেন, ‘সমাজের বিত্তশালীরা যদি সংগঠনের আর্থিক সাহায্যে এগিয়ে আসেন তাহলে সংগঠনটি গরীব-দুঃখীদের পাশে আরো ভালোভাবে দাঁড়াতে পারবে। তাই বিত্তবানদের সংগঠনটির পাশে দাঁড়ানোর জন্য তিনি উদাত্ত আহ্বান জানান।
প্রতিবেশীরা জানান, এই পরিবারটি দীর্ঘদিন ধরে মানবেতর জীবন-যাপন করছিল। ঝড়-বৃষ্টিতে কখনো কারো বারান্দায়, কখনো খোলা আকাশের নিচে রাত কাটতো। সেই কষ্টের অবসান হলো আজ।
এই উদ্যোগ কেবল একটি ঘর নয়, এক অসহায় পরিবারের নতুন জীবন শুরু করার সুযোগ এনে দিয়েছে। মানবিক চেতনার এমন নিদর্শন সমাজে অনুপ্রেরণার আলো ছড়াবে—এটাই সকলের প্রত্যাশা।